ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম এ নিয়মে দরখাস্ত লিখলে আপনার দরখাস্তটি খুব সহজে গ্রহণযোগ্য কবে। আপনি হয়তো অনেক ওয়েবসাইটে খোঁজাখুজি করে হয়তোবা ছটি দরখাস্ত লেখার নিয়ম খুঁজে পাননি আমাদের এই পোস্টে সঠিকভাবে পরিষদের দরখাস্ত লেখা হয় কিভাবে সে বিষয়ে আলোচনা করব এবং কিভাবে দরখাস্ত লিখতে হয় সে বিষয়েও আপনার কে জানাবো আশা করছি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
প্রিয় পাঠক আমরা এমন একটি টপিকস নিয়ে হাজির হয়েছি আপনার দরখাস্ত সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে যেভাবে লেখা হবে সেইভাবে আপনার দরখাস্তটি আমি আপনাদেরকে শিখাবো। আমি একটু দরখাস্ত উল্লেখ করব সে দরখাস্ত হলো জমি সংক্রান্ত একটি পরিষদের দরখাস্ত লেখা একই নিয়মে আপনারা অন্যান্য দরখাস্ত করতে পারবেন।

ভূমিকা

আমরা এই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম উল্লেখ করবো কিভাবে নিবেদক অংশ কোথায় লিখতে হবে কোথায় দাগ নাম্বার খতিয়ান নাম্বার লিখতে হবে গত কোথায় হবে তারিখ কোথায় হবে বিভিন্ন দরখাস্ত ভিতরে কোথায় কি বসে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়গুলো পড়ে আপনার অনেক উপকার হবে যাতে আপনার দরখাস্তটি শক্ত পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হয়।

ইউনিয়ন পরিষবদে চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বাংলাদেশে আঞ্চলিক অবধি সরকার এর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা উপযোগপত্র পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছে তাই আমাদের কাছে একজন হল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনেক রকম হতে পারে যেহেতু একজন ব্যক্তি কাছে দরখাস্ত লিখতে হবে তাই খুব সতর্ক থাকা ভালো সে দরখাস্তে কোন রকমের ভুল যেন না হয় আবার অনেকে দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানে কিন্তু চিন্তা থাকে চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত দেওয়ার নিয়ম কিনা। আজকে আপনাদের এই সমস্যা আমরা জানাবো আপনি এই পোস্টে সেগুলো সমাধান শিখতে পারবেন।

চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ পত্র

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম হল প্রথমে দরখাস্তের তারিখ বরাবর এবং কোন ইউনিয়ন পরিষদের লিখবেন উপজেলা জেলা লিখতে হয়। তারপরে কয় নম্বর ইউনিয়ন পরিষদে লিখছেন সে বিষয়ে লিখতে হবে এরপর বিষয় লিখতে হবে আপনি কি সম্পর্কে লিখবেন জনাব কমা দিয়ে বিনীত নিবেদন
এই যে দিয়ে আপনার নাম ঠিকানা শুরু করে আপনার বিষয়গুলি আলোচনা করতে হবে তারপরে মহোদয় কাছে আপনার বিনীত আবেদন করতে হবে যাতে আপনার দরখাস্তটি পড়ে খুব সহজে তার মনে লাগে সে বুঝতে পারে।তারপরে আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য করে।
আপনার কাছে নির্দিষ্ট সময় দিন ধার্য করে আপনাকে সময়মতো ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হওয়ার জন্য জানানো হয়। তাই এমনভাবে ইউনিয়ন পরিষবদে চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার  লিখতে হবে আমাদের যাতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমাদের এই দরখাস্ত বাতিল না করতে পারে সেরকমভাবে পাকাপোক্ত করে লিখতে হবে।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম এখন পুরো দরখাস্তটি লিখে আপনাদেরকে দেখাবো সে দরখাস্তটি আমি একটি জমি সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে আপনাদেরকে দেখাবো যাতে আপনাদের উপকারে আসে। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বেশি সমস্ত সৃষ্টি হয় তাই আমি জমি সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত আপনাদেরকে দেখাতে চলেছে। উপরে বলেছিলাম দরখাস্তের প্রথমে তারিখ দিয়েশুরু করতে সেজন্য আমি প্রথমে বাম পাশে তারিখ দিয়ে শুরু করলাম।

তারিখঃ ০২/০৪/২০২৪

বরাবর,

চেয়ারম্যান,

৭ নং ইউনিয়ন পরিষদ,
দুর্গাপুর, রাজশাহী।

বিষয়ঃ দলিল সুত্রে হোক দখলি সম্পত্তি বিক্রেতা কৃর্তক অপরাধ ভাবে দখল উচ্ছেদের হুমকি প্রদান নিরসন প্রসঙ্গে।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিতা মোঃ আই এম প্রামানিক, সাং নোনা মাটিয়াল 7 নং জয়নগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিগত ২৫ মে ১৯৯৬ সাল বিক্রেতা মোহাম্মদ কপিল ইকবাল, পিতাঃ মোঃ কৌশিকবাল তার অহক দখলিয় ও নিজ ২০২০ নং দলিল মূল্য প্রাপ্ত নামীয় সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য মৌখিকভাবে শহর দিলে আমি উক্ত দলিলে এস এ ৮৭৬, আর এস ৪৩৪ নং খতিয়ানিয়া হাল দাগ ১৬০ রকম ধানী ০.৮৭৬ শতক জমি সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ক্রয় করি এবং টাকা পয়সা পরিশোধ করিয়া রেজিস্ট্রি করতে যাই।
রেজিস্ট্রি করতে যাইয়া দেখি বিকৃত দাগে সর্বমোট ০.৩ শতক জমি রহিয়াছে। তখন বিক্রেতা ওই দলিলে এসএ ৫৫৫, আর এস ৩৯৬ খতিয়ানের সাবেক দাগ নং১০১ হাল ৩০১ দাগে ০.৮৭৬ শতক জমি আমাকে রেজিস্ট্রি করিয়া দেয় এবং পূর্বে খতিয়ানের ০.৩ শতক জমি তাও টাকা প্রয়োজন বলিয়া বিক্রয় করে এবং একই দলিলে একই সঙ্গে সাফল্য টাকা নগদ বুঝিয়া লইয়া উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করিয়া দেয়। তবে বিকৃত ভবিষ্যতে এসে ৫৫৫ আর এস ১৫৫ নং খতিয়ানে হাল দাগ নং ১৬০ রকম ধানী ০.৩ শতক বিক্রয়ের সম পরিমাণ টাকা ফেরত দিয়া জমি ফেরত লইয়া দাবি করেন।

ইহাতে আমি বিবেচনা করিব বলিয়া আস্বস্ত করি। এরপর বিক্রয় নিউজ এসএ ১৫৫ আর এস ৩৯৬ খতিয়ানের সাবেক দাগ নং 161 হাল ১৪৭ দাগের ১৬৮০০ এর সীমানা নির্ধারণ করিয়া আইন বাধিয়া দেয়। আমি আম নারকেল গাছ লাগাইয়া দখল করিয়া আসিতেছি এবং উক্ত গাছের ফল ভোগ করতেছি। কিন্তু বিক্রয় তো গত ১৩-২০২২ ইং তারিখে আমার লাগানো গাছ থেকে নারিকেল নামায়া লইয়া যায় এবং আমাকে মাদুরের হুমকি প্রদান করে এবং ৮৫০ জমি বিক্রয় করি নাই বলিয়া অস্বীকার ও অপপ্রচার চালাইতেছে এবং দখল উচ্ছেদের অহম কি প্রদান করিতেছে যাহা আমার স্বার্থের পরিপস্থি হইতেছে। ইতিমধ্য ক্রয় কিত সকল ১৫০ জমি খারিজ করিয়া আমার নামে ও হোল্ডিং করিয়া খাজনাদি পরিশোধ করিয়া আসিতেছি।

বিদায় মহোদয়, অনুগ্রহ করিয়া আমার আবেদনটি গ্রহণ করিয়া বর্ণিত বিষয়টি নিরসনের সুব্যবস্থা গ্রহণের আপনার একান্ত মর্জি কামনা করি।

নিবেদিত নিবেদক

মোঃ শফিকুল ইসলাম
পিতাঃ মোঃ আই এম প্রামানিক,
সাং নোনামাটিয়াল,
উপজেলাঃ দূর্গাপুর, রাজশাহী।

সংযুক্তি:
দলিল এর ফটোকপি
  • খারিজকৃত ডি সি আর এর ফটোকপি
  • প্রস্তাবিত খতিয়ানের ফটোকপি
  • জমি খাজনা পরিষদ রশিদের ফটোকপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
এইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম ফলো করে আপনি যদি আপনার জমি সংক্রান্ত হোক এবং অন্যান্য যেকোনো সমস্যা আপনার এই নিয়মে লিখে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিলে আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য অবশ্যই হবে আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url