গ্যাস্ট্রিক ভালো করার ঘরোয়া প্রতিকার
সিগারেট ছাড়ার পর দেহে যা ঘটেগ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়, কিছু খেতে পরা যায় না শুধু বুকে জ্বালা পোড়া করে থাকে গ্যাস্ট্রিক হয় সমাধান কি হতে পারে কেন এই সমস্যাটা হয়ে থাকেে এ ই গুলা নিয়ে শুরু করা যাক।
আমরা যখন কিছু খেয়ে থাকি সেটা পাকস্থলীতে যায় পাকস্থলী কিছু এসিড আরো কিছু তৈরি করে খাবার হজম করার জন্য এসিড এবং খাবার নিচের দিকে নেমে থাকেে এতে এই এসিড নিচের দিকে না নেমে গলার দিকে উপর দিকে ফুটে আসে তখন আমাদের বুকের জ্বালাপোড়া অনুভব করে থাকে। আমাদের কিছু কিছু অভ্যাসে এই সমস্যা আমার নিজেই ভালো করতে পারি। সেগুলো নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব।
ভূমিকা
আমাদের দেহের বেশিরভাগ মানুষের এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে । এটি সাড়া জিবনের জন্য ভালো করা বা ভালো করতে গেলে কি করা লাগবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় কিছু কাজ করলে এগুলো ভালো হয়ে যাবে সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে আপনি যদি এই কাজগুলো করেন তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা না হতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃ ঘরোয়া উপায় গ্যাস্ট্রিক দূর করা
- গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
- গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়
- গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
- চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
- গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
- গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যায় না
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কি কি খাওয়া যায় না কি কি করা যাবে না
পুরো পুরি পেট ভরে খেলে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে তাই অনেক খাবার একসাথে খাবেন না। সারাদিনে একটু একটু করে অল্প করে খাবার খাওয়া চেষ্টা করবেন। বেশি খেলে পাকস্থলী টা ভরে ওঠে। সে পাকস্থলী টা বেলুনে কথা ভাবতে পারেন বাতাস ঢুকলে বেলুন ফুলে উঠে তেমনি পাকস্থলীতে বেশি খাবার গেলে পাটের তুলে বড় হয়ে যায়।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়
পুরো পুরি অনেক খাবার খেলে পাকস্থলী টা ফুলে ওঠে তখন পাকস্থলের এসিড উপরে দিকে উঠলে আসতেও পারে ও বুকে শুরু হতে পারে জ্বালাপোড়া। খাবার সময় অনিয়ম করবেন না সময় মতন খাবার না খাইলে পাকস্থলীতে আরেকটি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে নাম গ্যাস্ট্রিকস।
আরো পড়ুন: নাকের টিউমারের লক্ষণ কি কি?
এই সব রোগের মানুষের গায়ে ক্ষত হয়ে থাকে। এই রোগে আপনার পেটে জ্বালাপোড়ার ব্যাথা হতে পারে। আপনার বুঝার ক্ষমতা নাই যে পেটে কি কারনে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। তাই পাকস্থলীতে সুস্থ রাখতে আপনাকে নিয়মিত খাবার খেতে হবে।
অনেক মানষের মাঝে একটি ধারণা আছে যাদের গ্যাস্ট্রিকই সমস্যা তাদের পৃথিবীর সব খাবার নিষেধ শুধুমাত্র সিদ্ধ লেজা মসলা ছাড়া খাবার খেতে হবেই এই ধারণাটি ঠিক না। তাহলে সঠিক টা কি একেক ধরনের মানুষের একেক ধরনের খাবার এই সমস্যা সৃষ্টি করে। আপনার যেসব খাবার খেলে বুকে জ্বালাপোড়া করে আপনি সেই সব খাবার খাবেন না।
সেটা হতে পারে মসলা দেওয়া তেল দেওয়া ভাজাপোড়া খাওয়া আপনার কোন খাবারে গ্যাস্ট্রিক হয় আপনাকে নিজেই খুঁজে নিতে হবে এবং এড়িয়ে চলতে হবে।রাতের খাবারটা আগে আগেই সেরে ফেলবেন ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে আপনি যদি ১১ টায় ঘুমান তাহলে আপনি সাতটা থেকে আটটার ভেতর খাওয়া শেষ করতে হবে।
গ্যাস্ট্রিকগ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় এটা কেন করবেন বরপেটে চিট হয়ে চলে পাকস্থলীর এসিড উপরের দিকে আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এখানে একটু বলে নেই ৩-৪ ঘন্টা বসে থাকতে একটু বেশি কষ্ট হয়ে যায় তাই আপনাকে গ্যাস্ট্রিক না হওয়া জন্য আপনাকে একটু লড়াই করে যেতে হবে।
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার ভেষজ উপায়
ঘুমানোর আগে আপনার মাথার বালিশ মাথা থেকে পেট পর্যন্ত সমান যেন না থাকে কিংবা মাথা নিচু না থাকে মাথা আপনার পেটের থেকে ২০ সেন্টিমিটার যেন বেশি উঁচু থাকে। মাথা উপর দিকে থাকলে সেটা এসিড উপরের দিকে আসাটা থামাবে। যাদের বুকে জ্বালা পোড়া হয় গ্যাস্টিক হয় তাদের জন্য এই ধাপটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল করবেন আপনার শরীরটা ঘুমের ভেতরে আঁকাবাঁকা উপরে ছোঁয়া এগুলা না করা তাহলে আপনার শরীরটা ব্যাথা হতে পারে। বালিশের উচ্চতা বাড়ালে কারো কারো ঘাড়ে ব্যাথা হয় সে কারণে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
এইবার আমি আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় শুধু বুকে জ্বালাপোড়া কমাবে না আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হতে পারে। আপনার ওজন যদি বেশি হয় সেটা কমানোর চেষ্টা করুন অতিরিক্ত ওজন অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে যেমন ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ইত্যাদি ইত্যাদি আরেকটি হল ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
আরো পড়ুন: নাক বন্ধ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার।
আপনাকে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা ধূমপান করে ধূমপান ছেড়ে দিলে দেখা গিয়েছে গ্যাস্ট্রিক তাদের অনেক কমে গিয়েছে। আর ধুমপান নানা ধরনের রোগের কারণ তাই এটা থেকে বিরত থাকতে হবে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার আমি আর একটি আর্টিকেল লিখেছি সেটা আপনি দেখতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ
আর নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ আছে সেগুলো এগুলো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যেমন এক্সপিরিন, আইবুপক্ষীন ইত্যাদি। কিন্তু আপনি ডাক্তারি পরামর্শ যদি এগুলো ওষুধ খান তাহলে এই সমস্যাগুলো হবে না ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এগুলো ওষুধ না খাওয়া ভালো ওষুধ খেতে গেলে নিজে নিজে আপনি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। তবে এইসব হোট খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে যেমনঃ
ডমপেরাডিন ১০ এমজি ট্যাবলেট,
সেজভম ১০এমজি ট্যাবলেট
নউসডান ১০ এমজি ট্যাবলেট
ডমস্টপ ১০ এমজি ট্যাবলেট
আরো পড়ুন: Foot পায়ের আঙ্গুলের নখের সমস্যা
আপনার ঘরে বসে কিভাবে চিকিৎসা আপনার গ্যাস্ট্রিক ভালো করবেন এখন বলব কখন আপনার ডাক্তারের কাছে যাওয়া খুব জরুরী হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুধু ঘরোয়ার মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয় না আপনার কর্তব্য ঘরের ভাবে চেষ্টা করা তারপরে যদি গ্যাস্ট্রিক ভালো না হলে তাহলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাইবেন।
আপনার কোন কোন লক্ষণে ডাক্তারে পরামর্শ নিতে জাইবেন।
বার বার এ সমস্যা যদি দেখা দেয় প্রতিদিন কাজের ব্যাঘাত ঘটায় দুইদিন তিনবার তিন-তিন দিন কিংবা এক সপ্তাহ বেশি হলেও বয়স যদি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এগুলো দেখা দিলে আপনার অন্যান্য কোন গুরুত্ব রোগ হচ্ছে কিনা এটা যাচাই করার প্রয়োজন পড়ে এ ধরনের ছয়টা লক্ষণ আছে তা কি কি???
- আয়রনের অভাবজনিত রক্তশূন্যতায় ভুগছেন
- মনে হচ্ছে পেটে চাকার মতো কিছু একটা হয়েছে
- বারবার বমি হচ্ছে বারবার পায়খানা হচ্ছে পায়খানা কালো হচ্ছে বমির ভিতর কালো কালো কিছু দেখা যাচ্ছে কফি দানার মতন কপির দানা মতন ওইগুলো রক্ত
- খাবার খেতে গেলে গলায় আটকে যাচ্ছে
- ওজন অনেক কমে যাচ্ছে কোন কারণ ছাড়াই কোন চেষ্টা ছাড়াই
এসব লক্ষণ দেখা দিলে যে গুরুতরো কিছু হয়েছে এমন না তবে একটা সম্ভাবনা রয়েছে তাই অবশ্যই একজন চিকিৎসার পরামর্শ নিবেন আর যদি হঠাৎ করে পেটে তীব্র ব্যাথা শুরু হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যাবেন।
সুখী পেটের জন্য খাবার খাওয়া এবং এড়ানো উচিত
আমাদের মন এবং শরীর আমরা জড়ো করা চেয়ে অনেক বেশি উপায়ে সংযুক্ত করে মানসিক চাপ প্রায়শই গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সমস্যার আকারে শারীরিক ভাবে প্রকাশ করতে পারে। আপনি যদি স্ট্রেস বা অনুভব কারণে পেট খারাপের সম্মুখীন হন তবে শিথিল করণ কৌশলগুলি অনুশীলন করা স্বস্তি পাওয়ার একটি সহজ হয় তবে কার্যকর উপায় হতে পারে।
মানসিক চাপ কমাতে এবং শিথিলতা প্রচারের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত হাতিয়ার হলো। আপনার মন শান্ত করে এবং বর্তমান মুহুর্তে ফোকাস করেথাকে। আপনি মানসিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করতে পারেন আপনার পেট খারাপের জন্য অবদান রাখতে পারে। একটি আরামদায়ক অবস্থান খুজে রাখেন, আপনার চোখ বন্ধ করে এবং আপনার শ্বাস বা একটি শান্ত দৃশ্যের উপর ফোকাস করেন। আপনি যদি ধ্যানে নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে অনেক অ্যাপ এবং অনলাইন সংস্থান অনুভূতি রয়েছে যা আপনাকে বিভিন্ন ধ্যান অনুশীলনের মাধ্যমে গাইড করতে পারে।
আমার এই আর্টিকেল টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url