অনলাইনে জমির কর খাজনা দেওয়ার নিয়ম
ই-নামজারি কিভাবে করবেন বিস্তারিত জানুনঅনলাইনে জমির কর খাজনা নিয়ম চালু হয়েছে ২০২২ থেকে তাই আমরা অনেকে অনলাইনে গুগল ইউটিউব অনেক জায়গায় খুঁজে খুঁজি করে হয়তোবা কিছুটা নিয়ম জানতে পারছি।
কিন্তু আজকে আপনাকে আমি আপনার মনের কথাগুলো জানার বিষয়গুলো জানাবো যা আপনার মনে পাক খাচ্ছে যে কিভাবে অনলাইনে জমি কর খাজনা দেওয়া যায়। আজকে জানাবো কিভাবে অনলাইনে রেজিস্টোন করে আপনি জমি কর খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।
ভূমিকা
আমরা দেখেছি ভূমি অফিসে গেলে দেখা যায় যে পূর্বের ভূমি উন্নয়নের কর রশিদ এবং খাজনার রশিদ তার সাথে খতিয়ান কিংবা দলিল অফিসে নিয়ে গেলে ভূমি অফিসে কর্মকর্তা পূর্বের চেক দেখে এবং খতিয়ান দেখে তাদের রেজিস্টার অনুযায়ী আমাদের আবারো অর্থবছরের চেক ভূমি উন্নয়ন কর খাজনা চেক কেটে দেয়। কিন্তু এখন সবই উল্টো কি জন্য? এখন আপনার হাতে মুঠোর ভিতর পুরো পৃথিবী তাই আপনি নিজে বাড়িতে বসে জমি কর খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ জমির কর খাজনা দেওয়ার নিয়ম
- ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ অনলাইনে
- ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি
- জমির খাজনা অনলাইনে
- জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম ২০২৪
কি ভাবে অনলাইনে জমির খাজনা দেয়
প্রথমে যখন 2022 সালে ভূমি কর খাজনা অনলাইনে দিতে গেলে ভূমি উন্নয়নের মন্ত্রণালয় সার্ভার আপডেট করার কারণে রেজিস্টেশন ছাড়াই হোল্ডিং নং বা খতিয়ান নং দিলে আপনার রেকর্ডিং সম্পত্তির রেকর্ড চলে আসতো সেখানে অনলাইন পেমেন্ট ছিল আপনি সব কিছু দেখে সব ঠিক থাকলেই আপনি সহজে বিকাশ বা রকেট এবং উপায়।
আরো পড়ুন: খতিয়ান অনুসন্ধান করে দেখে নিন
এগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে আপনি পেমেন্ট করে সেট পিন দিয়ে নিতে পারতেন সেখানে এখন সার্ভার আপডেট হওয়ার কারণে জমে কার খাজনা অনলাইনে দেওয়া হয় যেভাবে আপনার নিজস্ব যে স্মার্ট ফোন আছে সে ফোনে আপনি ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে জমি কর খাজনা দিতে পারবেন খুব সহজে সেটা হল আপনাকে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে আপনার ভোটের আইডি কার্ড দিয়ে বা জাতীয় পরিচয় পত্র বলে।
কিভাবে জমির কর খাজনা রেজিস্ট্রেশন করবো
জমি কর খাজনা এখন অনলাইনে দিতে গেলে যেভাবে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা হলো আপনাকে প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনে গুগল ক্রোমে গিয়ে সার্চ করতে হবে dtax.gov.bd.com লিখে দিলে এরকম একটি ইন্টারফেজে নিয়ে চলে যাবে সেখানে আপনাকে নিচের ছবিতে আন্ডারলাইন করা আছে এই লিঙ্কে গিয়ে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।
এরপরে ভূমি উন্নয়ন কর নাগরিক এখানে ক্লিক করার পরে আপনার মেন জায়গা নিয়ে চলে যাবে যেখানে আপনি আপনার নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে নাম্বারটি মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ভেরিফিকেশন করে ভূমি উন্নয়ন কর নাগরিক কন্যার লগইন করে নিতে হবে পাসওয়ার্ড দিতে হবে ফোন নাম্বার 11 টি দেওয়ার পরে।
ইংরেজিতে বড় হাতের অক্ষর আর ছোট হাতের অক্ষর এর সাথে এড দা রেট বা স্টার চিহ্ন ব্যবহার করে পাসওয়ার্ডটি সেট করে নিতে হবে। এই কাজটি কিভাবে করবেন সেটি হল নাগরিক নিবন্ধন নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করে ফোন নাম্বার দেওয়ার অপশন থাকবে নিচে একটি যোগ করার একটি ক্যাপশন থাকবে সেটি যোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলে দেখবেন আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ চলে যাবে সে মেসেজে ভেতরে ছয়টি নাম নাম্বার থাকবে নাম্বারটি দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
এনআইডি ভেরিফিকেশনঃ এরপরে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কিভাবে বেরোবিশন করবেন তা হলো নাগরিক লগইন অপশনে ক্লিক করে আপনার ফোন নাম্বার এবং যে পাসওয়ার্ডটি পড়বে সেভ করে নিয়েছিলেন সে পাসওয়ার্ডটি আপনি বসাবেন তারপর লগইন করুন অপশনে ক্লিক করতে হবে আমি একটু সংক্ষেপে ছবি আন্দোলন করে দিচ্ছি বুঝার সুবিধার্থে।
লগ ইন বাটমে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করা একাউন্টটিতে যেতে হবে তারপরে হাতের বাম সাইডে দেখবেন অনেকগুলো অপশন আছে সেখানকারার ভেতর এনআইডি ভেরিফাই করুন নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করলে আপনার সামনে ইন্টারভিউ চলে
আরো পড়ুন: খাজনা রশিদ বের করার নিয়ম
আসবে জাতীয় পরিচয় পত্র ভেরিফাই সেখানে আপনার যাতে পরিচয়পত্র নাম্বারটি টাইপ করে দেবেন নিচে আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ সাল পূরণ করবেন তারপরে নিচে একটি অপশন আছে যাচাই ও হাল নাগাত করুন এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি বা জাতীয় পরিচয় পত্র টি আল-নাগাদ হয়ে যাবে যাকে বলে ভূমি উন্নয়ন কর খাজনার রেজিস্ট্রেশন। আমি নিচে একটি ছবি আঁকার ভূমি উন্নয়ন ছবিতে আন্ডারলাইন করে দেখায় দিলাম।
এরপরে আরো অনেক কাজ করতে হবে যা একবার করলে আর কোনদিন করা লাগবে না প্রতিবারই আপনার ওই মোবাইল নম্বর এবং যে পাসওয়ার্ডটি দিয়েছিলেন এ দুটির এজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার নাগরিক লগইন অপশনে গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন করার পরে প্রতিবারে আপনার পরিষদ করতে পারবেন এরপরে আপনাদেরকে জানাবো যে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করার পরে ভূমি উন্নয়ন বরাবর আপনার হোল্ডিং এবং খতিয়ান নাম্বারটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
কিভাবে ভূমি কর খাজনা আবেদন করতে হয়
প্রথমে আপনাকে নাগরিক লগইন করুন অপশনে গিয়ে ফোন নাম্বার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আপনার প্রোফাইলে চলে যাবেন এরপরে দেখবেন আপনি আপনার প্রোফাইলের ভেতর হাতের ডান পাশে অনেকগুলো অপশন আছে প্রথমে আপনার ড্যাশবোর্ডে ইন্টারভিউ থাকবে তার নিচে প্রোফাইল খতিয়ান থাকবে এই সেই খতিয়ান অপশনে ক্লিক করে আপনাকে আবেদন অপশনে যেতে হবে।
সে ইন্টারফেস এ থাকবে নতুন খতিয়ান যুক্ত করুন এখানে আপনার কাজ হল বিভাগ জেলা উপজেলা মজা খতিয়ান নং হোল্ডিং নং এবং আপনার যে খতিয়ান টা আছে বা পূর্বের ভূমি উন্নয়ন জমি কর খাজনা রশিদ যদি থাকে এগুলো যে কোন একটি মোবাইলের ছবি তুলে আপনাকে আপলোড করতে হবে। এখানে আরেকটি বিষয় আছে সেটা হল আপনার নিজ সম্পত্তি যদি হয়ে থাকে খতিয়ানভুক্ত তাহলে হাতের ডান পাশে নিজ এবং উত্তরাধিকারী অপশন আছে আপনার নিজ খতিয়ান কৃত সম্পত্তি হয়ে থাকে তাহলে নিজ সিলেক্ট করে সংরক্ষণ কোন অপশনে ক্লিক করতে হবে তাহলে আপনার নিজস্ব খতিয়ানভুক্ত আবেদনটি অপেক্ষা মান হয়ে থাকবে।
আর উত্তরাধিকারী খতিয়ানে যদি আপনি আবেদন করতে হয় তাহলে পূর্বের বিভাগ বিভাগ সবগুলোই একই থাকবে তারপরে উত্তরাধিকারী সিলেট করে নিচে একটি অপশন থাকবে সেখানে রেকর্ডিং ও খতিয়ানের মালিকের নাম তার পিতা কিংবা স্বামীর নাম দিয়ে সাং লিখে উত্তরাধিকারী ওয়ারেসন সনদ আপলোড করতে হবে তারপরে সংরক্ষণ অপশনে ক্লিক করতে হবে তাহলে সেটি অপেক্ষমান আবেদনটি হয়ে যাবে এরপরে করনীয় হল
জমি কর খাজনা আবেদন অপেক্ষামান হওয়ার কারণ কি
এ অপশনটি হওয়ার কারণ হলো আপনি যে অনলাইনে জমি কর খাজনা দেওয়ার জন্য আপনার এরিয়ার ভিতরে যে ভূমি অফিস আছে সেটার বরাবর আপনি আপনার জমির খাজনার জন্য আবেদন করেছেন সেটি অপেক্ষা মান হয়ে আছে সেটিকে আপনি অনুমোদন করতে কি করনীয় তা হল অফিসের কর্মকর্তা সে আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে।
আপনার আবেদনটি অনুমোদন করে দেবে যদি কোন প্রকার সমস্যা থাকে আপনার খতিয়ানে তাহলে আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট এরিয়ার ভিতরে যে সেখানে আপনার খতিয়ান হোল্ডিং নং নিয়ে যোগাযোগ করতে হবে তাহলে আপনার আবেদন আবেদনটি অপেক্ষা মান থেকে অনুমোদন করে দিবে। আরেকটি কথা বলে নেই তা হল এই অনুমোদনটি আপনাকে একটি খতিয়ানের জন্য একবারই অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এরপরে যে খতিয়ানটি আপনি অনুমোদন করে নিয়েছেন সে খতিয়ান টি আপনি প্রতিবছর বাড়িতে বসে ভূমিকর খাজনা আইডি পাসওয়ার্ড লগইন করে খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।
জমির কর খাজনা দেওয়ার নিয়ম
আপনার হোল্ডিং কি অনুমোদন হয়ে গেলে আপনার মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে নাগরিক লগইন করুন অপশনে গিয়ে যোগ বিয়ে ক্যাপচারটি দিয়ে লগইন করুন অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইলটি লগইন করে হোল্ডিং নামে একটি অপশন আছে সেই অপশনে ক্লিক করে আপনার হোল্ডিং টি অনুমোদন অপশনে দেখা যাবে। এখন আপনাকে যা করতে হবে হাতের ডান পাশে দেখবেন বিস্তারিত নামে একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করবেন আমি ছোট্ট ছবি দিয়ে দিলাম বুঝানোর জন্য।
এখানে ক্লিক করলে আপনার খতিয়ান বিস্তারিত জায়গায় নিয়ে চলে যাবে সেখানে দেখা যাবে হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন কর তথ্য এখানে আপনার করণীয় হলো আপনার খতিয়ানের সবগুলো ডিটেলস থাকবে কত বছরের খাজনা পরিষদ করা আছে কত বছর বাকি আছে আপনার খতিয়ানের বকেয়া দাবি কত হাল দাবি কত বকেয়ার সুদ কত সবগুলো অপশন দেখা যাবে।
সেগুলো অনুযায়ী আপনার সবার মোট দাবি অনুযায়ী যে অপশনটি থাকবে সেই টাকাটি আপনার জমির কর কাজ না লাগবে সেটিকে আপনি অনলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করে বিকাশ বা রকেট বা উপায় মাধ্যমে আপনি ফোন নাম্বারটি যে নাম্বারটি দিয়ে আপনার বিকাশ রকেট একাউন্টটি খোলা আছে সেই নাম্বারটি দিয়ে ভেরিফিকেশন কোড যাচাই করে।
আপনার পিন নাম্বার দিয়ে আপনার যেটা হাল দাবি বা মুড দাবি ছিল সেটা অটোমেটিক্যালি আপনার বিকাশ বা রকেট থেকে কেটে নেওয়া হবে এরপরে অটোমেটিক্যালি আপনার প্রোফাইলে আপনার বমি কর খাজনা দেওয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তারপর কাজনার চেক রেডি হয়ে যাবে আপনি চাইলে সেভ করে নিতে পারবেন আবার প্রিন্ট অপশানে সরাসরি প্রিন্ট করতেও পারবেন। এছাড়াও আপনি চালানের মাধ্যমেও চেক করতে পারবেন সেটা একটু অসদায়ক হয়ে যাবে তার চেয়ে অনলাইন পেমেন্ট করাটাই ভালো।
আমি যেগুলো আপনাদেরকে কথা বললাম জমি কর খাজনা দেওয়ার বিষয়গুলি নিয়ে এই নিয়মগুলি ফলো করে আপনার একটি প্রোফাইল রেডি করলে প্রতিবছর আপনার কাজ না পরিশোধ করতে পারবেন নিজ ইচ্ছায় নিজ বাড়িতে আর কোথাও যাওয়া লাগবে না ইচ্ছা মতন বছরে যে কোন এক দিনে পরিশোধ করতে পারবেন এক নিমিষে আশা করছি আমার আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগেছে তাই এ বিষয়টি অন্যদেরকে জানাতে চাইলে আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের কাছে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url