গ্রামে পার্ট টাইম ব্যবসার করার কৌশল কি

গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করার উপায়গ্রামে পার্ট টাইম ব্যবসার করার অনেক কৌশল আছে। আপনি হয়তো বা অনেক খোঁজাখুঁজি করে দেখেছেন যে কিভাবে গ্রামে বস থেকে পার্ট টাইম ব্যবসা করা যায়। হয়তবা একুরেট কোন পার্টটাইম ব্যবসা করার বিষয় খুঁজে পাচ্ছেন না।
সে কারণে আমি বলতেছি যে কয়েকটি আমি ব্যবসার বিষয়ে বলবো এ ব্যবসা গুলি আপনি আপনার বড় ধরনের ব্যবসার পাশাপাশি এই টাইম ব্যবসা করতে পারবেন এবং আপনি চাকরি অবস্থায় থাকলেও আপনি এই ব্যবসা গুলো করতে পারবেন।

ভূমিকা

আমাদের এই বাংলাদেশে কৃষি প্রধান দেশ। এদেশে থেকে অনেক ফলমূল শাক-সবজি আরও অন্যান্য মালামাল বাইরের দেশে যায় আমাদের এই বাংলাদেশ থেকে সুস্বাদু অনেক খাবার জাতীয় জিনিস বাইরে বলতে পারে দেশে যাই। তাই আমরা বিষয়টি ভাবতে গেলে আপনি একটি যদি চাকরি করেন তাহলে তার পাশাপাশি ছোটখাটো একটি পার্ট টাইম ব্যবসা করে একটি ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে পার্টটাইম ব্যবসা করব

পার্ট টাইম বলতে বুঝাচ্ছিলাম একটি ব্যবসার পাশাপাশি বা একটি চাকরির পাশাপাশি কিভাবে একটি ব্যবসা করবেন ছোটখাটো করে সেটাই হলো পার্টটাইম ব্যবসা। আপনি যদি একটি সরকারি চাকরিজীবী হোন যেমন আপনি ডিগ্রী পাস করেছেন বা অনার্স পাস করেছেন এ অবস্থায় আপনি চাকরি করতেছেন তার পাশাপাশি একটি ব্যবসা করবেন ভাবছেন।

তাহলে আপনি ছোটখাটো একটি ফার্মেসী খুলতে পারেন। এই ওষুধ ফার্মেসিতে আপনি একটি মানুষ রেখে দিতে পারবেন আপনি চাকরি করে বিকাল টাইম কিংবা রাতে আপনি আপনার ব্যবসা বুঝতে পারবেন। আরো অনেক রকমের পার্ট টাইম ব্যবসা আছে তার নিচে উল্লেখ করা হলো।

চাকরি পাশাপাশি ব্যবসা কিভাবে করব

আপনি একটি চাকরি করতেছেন তার পাশাপাশি একটি ছোট্ট ব্যবসা করার চিন্তা করছেন তাই আমি বলব আপনি একটি ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন। চাকরির পাশাপাশি একটি ছোট ব্যবসা করলে আপনি সাইড ইনকাম করতে পারবেন তার জন্য আপনার চিন্তা ভাবনা স্থির রাখে ব্যবসাটা শুরু করতে হবে। আপনি একটি চাকরির পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমে পার্ট টাইম ব্যবসা করতে পারেন।
কিভাবে সেটা? আজকাল ফেসবুকে অনেক রকমের পেজ দেখা যায় যাতে অনেক রকম প্রোডাক্ট পোস্ট করা দেখা যায় এরকমভাবে আপনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপনি আপনার নাম দিয়ে কিংবা আপনার একটি ব্যবসা নাম দিয়ে একটি পেজ খুলে ছোটখাটো প্রডাক্ট নিয়ে পেজে আপলোড করে ব্যবসা করতে পারবেন।
এতে আপনি বলতে পারেন আমার তো কোন পেজ ফলোয়ার্স নাই তাহলে আমি কিভাবে ব্যবসা করব? এতে আমি বলব মানুষ একবার ব্যবসা শুরু করলে বড় হয়ে যায় না আস্তে আস্তে ব্যবসাটা বড় হয় তাই ধৈর্য সহকারে ব্যবসাটা শুরু করলে প্রতিনিয়ত আপডেট কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি পোস্ট করবেন যাতে আপনার পেজ ফলোয়ার অটোমেটিক্যালি হয়ে যায়। এইভাবে আপনি একটি পেজ খুলে অনলাইন মার্কেটিং করতে পারেন।

পার্ট টাইম ব্যবসা করার নিয়ম

আপনি আপনার বড় রকমের ব্যবসা করতেছেন তার পাশাপাশি একটি ছোট ব্যবসা করার চিন্তা করছেন কি ব্যবসা করবেন তা ভাবছেন আমি বলব আপনি ছোট ব্যবসা বলতে আপনি যে ব্যবসা করতেছেন বড় সে ব্যবসার কিছু প্রোডাক্ট বা কোন মালামাল আপনি অনলাইন মার্কেটিং করেও ব্যবসা ঠিক করতে পারেন।

তার পাশাপাশি হচ্ছে যে আপনি সরাসরি ব্যবসা করতে পারছেন এবং অনলাইন মার্কেটিং করেও ব্যবসা ঠিক করতে পারছেন। আপনি একটি বড় ধরনের ব্যবসা করছেন সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক সময় কম তাতে আপনি ছোট ব্যবসা করতে যাবেন এরকম চিন্তাই আপনি যে সময়টুকু যেখানে ব্যয় করেন হাট বাজারে বা দোকানে চায়ের দোকানে বা অন্য কোথাও আপনি

আপনার নিজের এরিয়াতে যে বাজারটি থাকবে সে বাজারে আপনি ছোট্ট একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে কিছু প্রোডাক্ট ওই অঞ্চলে চলে এরকম নিয়ে দোকানে রাখতে পারেন সেই সময়টুকু আপনি আপনার দোকানে করলেন। তাতে দেখবেন আপনার সময়টুকু ব্যবসার কাজে লাগছের।

ছোট ব্যবসা নিয়ম

আপনি ছোট ব্যবসা করতে গেলে বেশি শ্রম দেওয়া লাগে না। যে সময়টুকু আপনার হাবিজাবি কাজে ব্যবহার করেন আপনি সে সময়টুকু সঠিক কাজে ব্যয় করবেন সেই সঠিক কাজ হলেও ছোটখাটো একটি ব্যবসা। সে ব্যবসা গ্রামেতে অনেক ভাল হয় গ্রামে পার্ট টাইম ব্যবসা করার কৌশল অনেক যেমন গ্রামে অনেক রকমের ফসল আবাদি হয় আপনি একটি ফসলের ওষুধ দোকান করতে পারবেন।

আপনি অবসর সময়ে আপনার দোকানে এসে বসে ব্যবসা করতে পারবেন। গ্রামের অনেক কৃষি আবাদি থাকার কারণে গ্রামে অনেক ওষুধ প্রয়োজন হয় আপনি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ওষুধ গুলো ক্রয় করতে পারবেন। সেই ওষুধগুলো আপনাকে কোম্পানিতে গিয়ে নিতে হবে না কোম্পানির থেকে আপনার কাছে মাল পচে যাবে।

আবার আরেকটি ছোটখাটো ব্যবসা কথা বলতে গেলে আপনি যদি চাকরিজীবী হোন তাতে ছোট একটি কম্পিউটার নিয়ে স্টুডিও বানিয়ে আপনার গ্রামের এরিয়ায় বাজারে একটি দোকান ঘর নিয়ে ছোট্ট একটি ব্যবসা করতে পারেন তাতে একটি কম্পিউটার রেখে একটি প্রিন্টার রেখে ছোটখাটো একটা ব্যবসা করতে পারবেন।
গ্রামের বাজারে অনেক রকমের মানুষ একটি বাজারে উঠবস করে সেখানে আপনি একটি ফলের দোকান দিতে পারবেন সেখান থেকে বিকেল টাইমে আপনি সব কাজকাম করে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। একটি কম্পিউটার এবং একটি প্রিন্টার তার সাথে ফেক্সিলোড এগুলো আপনি অবসর সময়ে ব্যবসা করতে পারবেন।

আপনার রিয়াল যেগুলো কাজ আছে ওগুলো করে আপনি বিকেল টাইম এগুলো ব্যবসা করতে পারবেন। এগুলো ব্যবসা করতে গেলে কারো কাছে যাওয়া লাগে না নিজের ইচ্ছায় অর্ডার করলে সব কাজ হয়ে যায় মানুষ আপনার কাছে আসবে আপনি মানুষের কাছে যাবেন না সে ক্ষেত্রে আপনি গ্রামে বসে পার্টটাইম ব্যবসাটা করতে পারবেন।

গ্রামে বাজারে পার্ট টাইম ব্যবসা

গ্রামের ভিতর অনেক রকম বাজার দেখা যায় সেই বাজারে স্কুল কলেজ থাকে বিকেল টাইমে অনেক ওই বাজারে মানুষ আসে। সেইখানে আপনি একটি ছোট করে চায়ের দোকান দিতে পারেন। বিকেল টাইমে মানুষ কাজ-কাম ছেড়ে বাজারের দিকে আসে চায়ের দোকানে বসে আর চা খাই সেই সূত্রে আপনি অন্য কাজে পাশাপাশি এই চায়ের দোকান দিয়ে পার্টটাইম ব্যবসা করতে পারেন।

আবার বাজারে ছোট্ট একটি পানের দোকান দিতে পারেন যেখানে পান বিড়ি সিগারেট কিছু চিপস এগুলো রেখে আপনি পানের দোকানটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। আপনি কাজকাম ছেড়ে এসে বিকেল টাইমে আপনি পানের দোকানটি করতে পারবেন একটি ছোট্ট পানের দোকান থেকে নেমে এসে ৪-৫০০ টাকা ব্যবসা করে নিয়ে চলে যেতে পারবেন।
আবার পার্ট টাইম ব্যবসার সময় টি হল বিকেল টাইম থেকে সন্ধ্যা রাত আটটা পর্যন্ত এ সময়টুকু কাজ-কাম ছেড়ে এসে অবসর সময় কাটানোর সময় তাই এই সময়টি কাজে লাগাতে হবে। আপনি গ্রামে বাজারে বিকেল টাইমে মুড়ির দোকান দিতে পারেন কিংবা ফুচকার দোকান দিতে পারেন। একটি পুরস্কার দোকান থেকে এক দেড় হাজার টাকার নেমেছে কিনে বাঁচা হয়ে থাকে দোকানটি আস্তে আস্তে বড় করতে গেলে অনেক ইনকাম হয় তাই চার পাঁচ ঘন্টা আপনি ফুচকা এবং মুড়ির দোকান নিতে পারেন।

আমাদের বাংলাদেশের ইউনিয়ন ভিত্তিক উপজেলা ভিত্তিক অনেক গ্রাম আছে এই গ্রামে বিভিন্ন রকমের বাজার আছে এ বাজারগুলোয় পার্ট টাইম ব্যবসার অভাব নাই ছোটখাটো একটি মুদির দোকান দিয়েও পার্টটাইম ব্যবসা করা যায়। তাই এখন করার যোগে আপনি বাসায় বসেও ছোট্ট একটি ফেসবুক পেজ ইউটিউব একটি একাউন্ট খুলে কিংবা আপনি

একটু ওয়েবসাইট খুলে দারাজ থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করতে পারেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি। গ্রামের ভেতরে অনেক কৃষি আবাদ হয়ে থাকে সে কিসে আমাদের অনেক ডিজিটাল প্রযুক্তি মেশিন ব্যবহার করে থাকে সেই মেশিনগুলি আপনার আপনি ক্রয় করে মানুষ দিয়ে একটি ব্যবসা করে নিতে পারেন।

সেখানে আপনার এক্সট্রা কোন সময় ব্যয় করা লাগছে না যেমন ধান ক্ষেতের ধান তৈরি করার পরে ধান সারানোর জন্য মেশিন প্রয়োজন হয় সেই মেশিনটি আপনি কিনে নিয়ে একটি মানুষ দিয়ে ব্যবসা করিয়ে নিতে পারবেন। আবার দেখবেন এখন করা ডিজিটাল প্রযুক্তি মাধ্যমে চায়না থেকে যেগুলো ছোট পাওয়ার টিলার গুলো পাওয়া যায় এগুলো নিয়ে এসে আপনি মানুষ দিয়ে জমি চাষ করে নিয়ে পারেন। আবার খড় কাটা মেশিন কিনে নিয়ে আপনি ছোটখাটো একটি খড় কাটা ব্যবসা করতে পারেন।

এই ছিল আজকের গ্রামের পার্ট টাইম ব্যবসার করার কৌশল। যেগুলো কথা বললাম আমি এগুলো যে কোন একটি আপনি করতে পারেন হয়তোবা প্রথম প্রথম একটু লাভ কম হবে আস্তে আস্তে ভালো একটি ইনকামে চলে যাবেন। তাই দেরি না করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন উপকারে আসে এবং আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবের কাছে শেয়ার করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url