জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম

আমাদের বাংলাদেশে অনেক জমিয়ে বায়না দেওয়া হয় এর মানে হল জমি কেনার আগে যে টাকাটা দাও গ্রহীতা দাতাকে কিছু টাকা প্রদান করে তাকে বায়না নামা দলিল বলা হয়। এই টাকাটা জমির যে দাম তার থেকে কিছুটা টাকা প্রদান করিলে নামে দলিল হিসেবে ধরা হয়।
আর এই বায়না নামা দলিল কিভাবে তৈরি করতে হয় বা লিখতে হয় সে বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করব আমি। অনেক মানুষ অনেক রকম ভাবে বানান নামা দলিল লেখে থাকে আর আপনিও অনেক খোঁজাখুজি করেও সঠিকভাবে সঠিক বানানামা দলিল লেখার নিয়ম জানতে পারেননি তাই আজকে আমার এই বয়ানামা দলিল লেখার নিয়ম গুলো ফলো করলে আপনি নিজে বানানো দলিল লিখতে পারবেন।

ভূমিকা

কিভাবে একটি জমির বায়না পত্র লেখার লেখা হয় । বিভিন্ন স্টোরি অফিসে বা ভূমি অফিসে মুহুরী নামে বা মুহুরী পদে একজন লোক থাকে জমি রেজিস্ট্রারভুক্ত হওয়ার আগে গ্রহীতা দাতাকে যে টাকা প্রদান করে থাকে সে দলিলে মুহুরী যেভাবে একটি বায়না নামা লিখে সংক্ষিপ্ত একটি দলিল করে সেই দলিলটি করার কারণটি হল রেজিস্টার ভুক্ত যখন হইবে এই টি থাকলে কারো কথাবার্তারা না শুনে এই বায়না নামা টি দেখে যে টাকাটা বায়না করেছে খুব সহজে টাকাটার অংক তুলে দিতে পারে।

বায়না দলিলের শর্তাবলী

জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম বানানামা দলিল লিখতে গেলে অনেক শর্তে মুখোমুখি হতে হয় সেগুলো হল বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকমের বায়না নামা লেখা হয় এই সকল বাইনানামা একটি মানুষের উপর ডিপেন্ড করে কারণ বয়ানামা লেখা একটি কারণ যা রেজিস্ট্রি করার সময় হলে জমির টাকা অগ্রিম যে নিয়েছে সেটি প্রমাণ রাখার কথাটি হল বায়না নামা দলিল এই দলিলটি লিখতে গেলে।

সুচিপত্র জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম হলো

ফ্ল্যাটের বায়না দলিলের নমুনা
বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন
বায়না দলিল কি
জমির বায়না পত্র লেখা হয়
বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন আইন

যে সকল শর্ত বলি লিখতে হয়যে টাকাটি গ্রহীতা দাদাকে প্রদান করিবে সেই সময়টি উল্লেখ থাকবে এবং কত টাকা জমির দাম আর কত টাকা গ্রহীতা দাদাকে প্রদান করিবে এই সকলগুলো বায়না নামা দলিল লেখা থাকবে।

আরো লেখা থাকবে যে জমির ৪ কন্যার মধ্যে কোন দিকে জমিটি ক্রয় হবে এবং জমিটির কত শতক বা কত একর জমিটি দাতা গ্রহিতের কাছে বিক্রয় করবে এই সকল গুলো বায়না নামা দলিলের শর্তবলী হয়ে থাকে ।

বায়না দলিল রেজিস্ট্রেশন খরচ কত

বায়না নামা দলিল রেজিস্ট্রেশন এর টাকার অংক বলতে বিকৃত সম্পত্তি যে বায়না করা হয় তার লিখিত মোট মূল্য যদি ধরা হয় ৫ লক্ষ টাকা হলে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ এর ধারা ৭৮ এ অনুসারে। বানানামা সম্পত্তি লিখিত মোট মূল্য ৫০ লাখ টাকা হলে এক হাজার টাকা বা ১১০০ টাকা আবার ৫০০০০০ টাকার উর্ধ্বে হলে দুই হাজার টাকা উর্ধ্বে লাগে ।

বায়না দলিলের মেয়াদ কতদিন হয়

জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম বাংলাদেশের বায়ানামা লিখলে যখন একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত একটি গ্রহীতাকে প্রদান করা হয় সে সকল অবহেলা করে দাতা করে তার সম্পর্কে লেনদেন সময়টি নির্ধারিত নিজে নিজে করে থাকে বয়ানামা দলিল মেয়াদ নাম বাড়িয়ে নেয় না রেজিস্ট্রেশন করে থাকে এইসব গুলি দেখা যায়। তাই এখানে বলে রাখছি বায়না নামা মেয়াদ নির্দিষ্ট করা থাকে সাধারণত বায়না নামা দলিল মেয়াদ থাকবে ছয় মাস পর্যন্ত তবে দাতা গ্রহীতা উভয়পক্ষ ইচ্ছা করলে বানানামা দলিল আরো বেশি মেয়াদ করে নিতে পারবে।

বায়না দলিলের মেয়াদ শেষ হলে করনীয় কি

এই বায়না নামা দলিলের মেয়াদ শেষ হলে তিন মাসের মধ্যেও উকিলের নোটিশ পাঠিয়ে পাঠাবেন আবার তিনবার পাঠানোর পর বায়না নামা অটো ভাবে ক্যানসেল হবে যদি সে যথাযথ জবাব না দেয়। আইনজীবী পরামর্শে আপনাকে কাজ করতে হবে আপনার বায়ানামা দলিলের তিন মাস মেয়াদ শেষ হওয়া মাত্র সিভিল কোর্ট পিটিশন দিয়ে যাবেন।

জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম

জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম আমি আপনাদের সাথে একটি বায়না নামা লিখে শেয়ার করতেছি এই লেখা অনুযায়ী আপনি আপনার জমির এবং টাকার অংক জমির পরিমাণ সবগুলোই আপনার গুলো দিয়ে আমার লেখা নিয়মে আপনি যদি একটি বায়না নামা দলিল লেখেন তাহলে আপনার বানানো টি জ্ঞানযোগ্য হবে।

বায়না নামা দলিল



জেলা নওগাঁ
থানা ফতেপুর
মৌজাঃ কুড়ি-২
জমিঃ ০.৫ শতক
মোট জমির দামঃ ৩ লাখ টাকা।
নগদ দামঃ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা।
বাকিঃ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা

প্রথম পক্ষ দাতাঃ মোহাম্মদ ওমর আলী শাহ, পিতা মোঃ কেরামত আলী শাহ, সাং ফতেপুর থানা ফতেপুর, জেলা নওগাঁ ।

দ্বিতীয় পক্ষ গ্রহিতাঃ মোসাম্মৎ রমেলা বেগম, পিতাঃ মোঃ কসের আলী দেওয়ান, সাং মুড়িপুর, থানা ফতেপুর, জেলা নওগাঁ।

পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে এই বায়না নামাল দলিল লেখা আরম্ভ করিলাম। আমি দ্বিতীয় পক্ষ তাহার সাংসারিক নানা প্রকার দায় বসতো টাকার বিশেষ অবশ্যক নিম্নলিখিত বিক্রয় করিবার জন্য মৌখিক প্রকাশ্য সহোদ দিলে প্রথম পক্ষ তাহার সর্বোচ্চ বাজার বর্তমান মূল্য তিন লক্ষ টাকায় ক্রয় করতে ইচ্ছুক হইলেন। তা হারমতে আমি দ্বিতীয়পক্ষ উক্ত মূল্যে বিক্রয় করিতে সম্মত হইয়া মূল্য সাকুল্য টাকা হইতে অদ্য বায়না নামা রূপনগর এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আপনার নিকট হইতে নিম্নলিখিত সাক্ষীদের সামনে বুঝিয়া পাইয়া শিকার করতেছি যে অত্র সম্পত্তির বাকি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা আগামী ৬ মাসের মধ্য যে কোন সময় পরিশোধ করিয়া দিলে আপনার নাম বরাবর ভদ্র সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করিয়া দিতে বাধ্য থাকিব। অত্র সম্পত্তি উক্ত বাকি টাকা আমাকে প্রদান করিয়া দিয়া অত্র সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করিয়া লইতে চাইলে আমি দ্বিতীয় পক্ষ আমি যদি রেজিস্ট্রেশন করিয়া দিতে অস্বীকার করি বা আমার মৃত্যুতে পরবর্তীতে ওয়ারিশ রেডিসটিক করিয়া দিতে অঙ্গীকার করে তাহা হইলে আপনি প্রথম পক্ষ আদালতে বাকি টাকা জমা দিয়া আদালত যোগে অত্র সম্পত্তির দেশটি করিয়া লইতে পারিবেন। ইহাতে আমি দ্বিতীয় পক্ষ বা আমার পরবর্তী ওয়ারিশগণ আপত্তি কইতে পারিবে না বাকি হো পারিবে না যদি করি বা কেহ করে তাহা আইনত সর্বোচ্চ আদালতে অগ্রাহর বা নাম মঞ্জুর বুলিয়া গণ্য হইবে। এতদত্তের ছেদ চাই সুস্থ মস্তি কে সরল মনে অন্যর বিনা প্রচলনায় অর্থ পাইনা নামা দলিল লিখিয়া দিলাম। ইতিসন ইংরেজি 10/02/2024 জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম।

তফসিলঃ- জেলা নওগাঁ থানা ও সাব রেজিস্ট্রেশন অফিস ফতেপুর। মৌজা হাল ২ নং কুড়ি মধ্যবর্তমান মালিক বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সরকারি কমিশনার ভূমি ফতেপুর নওগাঁ যে জমা জমি আছে। অন্য তো ৫ শতকের জমি বাইনানামা করিলাম।

স্বত্ত্বের বিবরণঃ- নগা অফিসের ১৭/০৮/১৯৭২ ইং তাং ১৩৬৪৪ নং দলিল মূলে আমরা ১ নং ২ নং যাত্রী আমাদের মৃত স্বামীরও আমার ৩ নং হইতে ৭ নং ডাটা আমাদের মৃত পিতার ইসরাফিল শাহ নামে দলিল আছে। তাহার মৃত্যুর পর আমার এক নং ২নং যাত্রী আমাদের মৃত স্বামী ও আমার ৩ নং হইতে ৭ নং ডাটা আমাদের মৃত পিতা ইসরাফিল শায়ের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত থাকিয়া গত ১৪/১২/২০২১ ইং তাং ১/২০২১-২২ নং হারিস আদেশ মতে প্রাপ্ত থাকিয়া বায়না নামা করিলাম।

প্রজার খতিয়ান আর এস ৩২২ প্রঃ ১৮৭৬ হোঃ ৬৭৫ সতের শত একাত্তর।
আর এস দাগ নং ৪৫৩৪ খরবন ২৬ শতকের কাত ৫ শতক জমি মাত্র

এইভাবে আপনি আপনার জমির বায়না নামা দলিল লিখতে পারিবেন কোন সমস্যা ছাড়া আপনার বয়ানামা দলিল জ্ঞানযোগ্য হইবে আর যদি আপনি মনে করেন যে এটা আপনার জন্য সঠিক হচ্ছে না তাহলে আপনি নির্দিষ্ট রেজিস্টার অফিসে গিয়ে আপনি মুহুরী দিয়ে লিখে নিতে পারেন। জমির বায়না পত্র লেখার নিয়ম।

আমার এই লেখাটি আপনার জন্য সঠিক নাও হতে পারে আপনি মনে করতে পারেন এটা যে আমি লিখতে বলছি আপনাকে ১০০% তার কোন কথা না আপনি মনে করতে পারলে লিখতে পারেন আর যদি না লিখতে পারেন দরকার নাই। আশা করছি আপনি এই বিষয়গুলো দেখে বা পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন তাই অনেক ধন্যবাদ। সামনের দিন আরো অনেক কিছু জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তাই আমার এই ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন বা অন্য কারো সাথে শেয়ার করে রাখুন পরবর্তী কোন নতুন জমি সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url